Kantaji Temple, Dinajpur Tour । কান্তজির মন্দির ও প্রচীন শিব মন্দির, দিনাজপুর


#KantajiTemple #Dinajpur
সাহিত্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যমন্ডিত দিনাজপুরের কান্তজি মন্দিরের কথা মোটামোটি সবাই জানি৷ বাংলাদেশের সুন্দরতম প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর একটি কান্তজির মন্দির বা নবরত্ন মন্দির। যা ১৭০৪ সালে দিনাজপুরের প্রখ্যাত জমিদার মহারাজা প্রাণনাথ রায় কান্তজির মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেছিলেন। আর ১৭৫২ সালে এই এই মন্দিরের কাজ সমাপ্ত করেন তার দত্তকপুত্র মহারাজা রামনাথ রায়। শ্রীকৃষ্ণের জন্য নির্মিত হয়েছিল বলে এর নাম হয় কান্তজিউ বা কান্তজীর মন্দির।
পুরো মন্দির জুড়ে রয়েছে ১৫ হাজার টেরাকোটা। এই টেরাকোটায় ফুটে উঠেছে রামায়ণ, মহাভারত এবং শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী।
পিরামিড আকৃতির মন্দিরটি তিন ধাপে উপরে উঠে গিয়েছে। আর এই তিন ধাপের কোণগুলোর উপরে টি অলঙ্কৃত শিখর বা রত্ন ছিলো। যার জন্য একে নবরত্ন মন্দিরও বলা হয়৷ তবে ১৮৯৭ সালের ১২ জুন অভিকম্পের কারণে ভেঙ্গে যায় অলঙ্কৃত শিখর৷ পরবর্তী মহারাজা গিরিজানাথ বাহাদুর অনেক চেষ্টা করে টি চূড়া বাদে মন্দিরের সংস্কারের মাধ্যমে পুননির্মাণ করেন। তবে আজও অলংকৃত মন্দিরটি দেখলে মনে হবে যেন একটি রথ সেজে আছে যাত্রার উদ্দেশ্য।
হিমালয়, বিহারের রাজ মহল পাহাড় এবং আসামের পার্বত্য অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা পাথর দিয়ে নির্মিত কান্তজির মন্দির৷ আর এই মন্দির নির্মাণের কারগর আনা হয়েছিল সুদূর পারস্য হতে। এই পারস্য কারিগরের তাই কান্তজির মন্দিরের সাথে তাদের নামাজ আদায়ের হন্য নির্মাণ করেছিল নয়াবাদ মসজিদ।
কান্তজির মন্দিরের পাশেই রয়েছে প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত এক চূড়া বিশিষ্ট শিব মন্দির। সাথে রয়েছে সেই সময়ের মন্দিরের প্রবেশের মূল গেট প্রাচীর।
কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর গোপীদের নিয়ে বৃন্দাবনে রাস উৎসবে মেতে উঠতেন। সেই ধারা অনুসারে ১৭৫২ সালে মন্দির নির্মাণের পর থেকে কান্তনগর মন্দিরে রাম উৎসব এবং মাসব্যাপী রাস মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কেউ কান্তজির মন্দির ঘুরতে আসতে চাইলে এই সময়টা বেছে নেবার চেষ্টা করবেন৷
কিভাবে জাবেন:
ঢাকার গাবতলী হতে পঞ্চগড়ের বাসে উঠে নেমে যাবেন কান্তনগর বা ১২ মাইল। সেখানে থেকে ভ্যানে করে চলে যাবেন কান্তজির মন্দির।
ভাড়া:
বাসা ভাড়া ৫৫০-৬০০ (নন এসি),
১২০০-১৩০০ টাকা (এসি)
কোথায় উঠবেন:
পর্যটনের সুন্দর রেস্টহাউজ রয়েছে। ভাড়া ১৫০০/-
খাবারঃ
পর্যটনে রেস্টুরেন্টে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া ১০ মাইলে কিছু খুব ভালো খাবারের দোকান রয়েছে৷ সেখানে হাসের মাংস গরুর মাংস খুব বিখ্যাত।

বি.দ্র: আপনারা যেখানেই ঘুড়তে যান দয়া করে পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন৷ দেশ আমার, দায়িত্ব আমার।

Comments