#BarbokundoChattogram #বাড়বকুন্ডট্রেইল
যেভাবে
যাবেন:
অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিলো এই ট্রেইল টা ঘুরে আসার কিন্তু সময় সুযোগ মিলিয়ে গতকাল ঘুরে আসলাম । চট্টগ্রাম একে খান থেকে সকাল সাড়ে ৭ টায় রওয়ানা হলাম বাড়বকুন্ডের উদ্দেশ্যে, প্রায় ৫০ মিনিট পর নেমে গেলাম বাড়বকুন্ড বাজারে...রাস্তা পার হয়ে রেললাইন এর আগে একটা দোকানে সবাই নাস্তা করে নিলাম...নাস্তা শেষে হাটা শুরু করলাম ১ কিলোমিটার পর্যন্ত ভালো রাস্তা এরপর কাদামাটি রাস্তা শুরু...রাস্তাতে খুব বেশি কাদা ছিলো যা আমাদের হাটার গতি অনেক কমিয়ে দেয়...কিছু পথ হাটলে পাহাড়ী পথের দেখা পাবেন দুপাশে অনেক পেয়ারার বাগান...হাটার পথেও অনেক পেয়ারা পেয়েছি এবং জমপেশ খেলাম...প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পর সিঁড়ি পাবেন সিঁড়ি উঠলেই উপরে মন্দির...স্থানীয় একজন আমাদের কাছে জনপ্রতি ১০ টাকা খুঁজে ছিলো কিন্তু আমরা দিই নাই আগের কোন পোস্টে এমন কিছু পাইনি তাই...এরপর জুতা খুলে সবাই অগ্নিকুণ্ড দেখতে গেলাম...কুন্ডের কাছে যেতে কষ্ট হচ্ছিলো অনেক বেশি তাপ ছিলো...বেশি সময় নষ্ট না করে আমরা ঝর্ণার খোঁজে বেরিয়ে পরলাম...মন্দিরের সিঁড়ি গুলো নেমে আবার হাতের ডানের ঝিরিপথে আগালাম...অনেক সুন্দর পরিষ্কার ছিলো ঝিরিপথ টা কারণ তেমন কেউ ঐই দিকে যাই না...ঝিরিপথের পাথর গুলা মারাত্মক পিছলা ছিলো একটু সাবধানে আগাবেন...ঝিরির দুই থেকে তিনটা জায়গা পাবেন মাঝখানে একটু গভীর পানির জন্য বুঝা যায় না তাই একপাশ দিয়ে চলাচল করবেন...প্রায় ৩০ মিনিট হাটার পর পাহাড়ের ধ্বংসাবশেষ স্থানটা পাবেন । বৃষ্টি আর পানি না থাকাতে পিছলা নাই...বৃষ্টির সময় ঐই জায়গায় একটা ঝর্ণার দেখা মিলবে কিন্তু আমরা শুকনা পেলাম...ধ্বংসাবশেষ গুলা পারি দিয়ে উপরে একটু হাটলে শেষ ঝর্ণা টা পাবেন । এটার যাওয়ার পথটা খুব বেশি পিছলা সাবধানে ঝর্ণার কাছে যাবেন...কাল আমরা গা ভিজানোর জন্যও পানি পাই নাই কিন্তু বৃষ্টি হলে অনেক বেশি পানি পাবেন এবং তিনটা ঝর্ণার দেখাও পাবেন...তাই কেউ যদি ট্রেইল উপভোগ করতে যান এখন যেতে পারেন আর ঝর্ণার পানির পেতে চাইলে বৃষ্টি হওয়ার পর যেতে পারেন ☺☺ আমরা হতাশ হয়ে ট্রেইল থেকে বের হয়ে দ্রুত অন্য পথে সুপ্তধারার আপার স্ট্রিমে চলে যায় তার বিস্তারিত পরের পোস্টে দিবো ।
একজনের খরচের বিবরণ:
চট্টগ্রাম একে খান থেকে বাস ৩০ টাকা
নাস্তা ও পানি ৫০ টাকা
দুপুরের খাবার ৬০ টাকা
সীতাকুণ্ড থেকে বাসে চট্টগ্রাম ৪০ টাকা
সর্তকতা ও আহবান:
যেহেতু এটা একটা ধর্মীয় স্থান তাই উচ্চস্বরে চেঁচামেচি করবো না । পাথর গুলো মারাত্মক পিছলা তাই সাবধানে পথ চলবো । যেখানেসেখানে ময়লা ফেলে আসবো না । যদি পেয়েরা খেতে হয় অনুমিত নিয়ে খাবেন । ধন্যবাদ ।
Comments
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.