#AndamanNicobarIslands
কলকাতা
থেকে পোর্ট ব্লেয়ার
ফ্লাইটের ডিউরেশন ২ ঘন্টা। যে কয়দিন এবং যে স্থানগুলো ভ্রমন
করবেন তার জন্য
বিমানবন্দর থেকে অনুমতি
নিতে হবে।
১ম দিনঃ আনন্দ রেস্টুরেন্টে দুপুরের
খাবার। তারপর সূর্যাস্ত দেখতে
"চিড়িয়া তাপু" তে রওনা।
শহর থেকে মাত্র
১ ঘন্টার দূরত্ব
এবং ট্যাক্সিতে ১২০০
রুপি। সাধারণত, ৫ টার মধ্যেই
সূর্য অস্ত চলে যায়। ফটো সেশন, বৃষ্টি
আর স্ট্রিট ফুড তো আছেই!
২য় দিনঃ
সকাল ৮ টায় ফেরিতে করে পোর্ট ব্লেয়ার
থেকে হেভ্লক! দেড় ধন্টার যাত্রা।
হেভ্লক জেটি সাইড
থেকে আপনি আন্দামান
ডাইভিং আয়াসোসিয়েশনের মাধ্যমে
আপনার স্কুবা উইথ ডাইভ ইন্ডিয়া
বুকিং করতে পারবেন। হোটেলে
চেক ইন- বিজয়নগর
বিচের সাথে বেস্ট
রিসোর্ট গ্রীন ভ্যালিতে। এখানে
উপভোগ করবেন কাঁচের
মত পরিষ্কার নীল সাগরে গোসল
আর সাঁতারের মজা। স্কুইড
রেস্টুরেন্টে লাঞ্চের সাথে
থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই। লাঞ্চের
পর জেটির পাশে
বেয়ারফুট ক্যাফে তে কিছু মুহুর্ত
কাটালে জায়গাটাকে আপনি
ভালোবেসে ফেলবেন। আপনি চাইলে
কালাপাথর বা অন্য
কোন বীচ থেকে
সূর্যাস্ত দেখে আসতে
পারেন। আমরা রিসোর্ট
সনলগ্ন বীচে ঘুরে
বেড়িয়ে একটি মনোরম
সন্ধ্যা কাটিয়েছিলাম।সন্ধ্যার পর হেভ্লক বীচ রিসোর্টে বার্বিকিউ সাথে
ডিজে নাইট। জনপ্রতি
বার্বিকিউ ৬০০-৭০০ রুপি মত খরচ হতে পারে।
৩য় দিনঃ
সকালে স্কুবা ডাইভিং,
পূর্ববর্তী তালিকাভুক্ত স্লট
অনুযায়ী বেলা ১১ টার মধ্যে
শেষ হয়ে যাবে। কালাপাথর
বীচ, এলিফ্যান্ট বীচ, রাধানগর বীচ ভ্রমনের জন্য
আমরা ১৩০০ রুপি
দিয়ে সারাদিনের জন্য
একটা জিপ ভাড়া
করেছিলাম। সবগুলো জায়গাই দারুণ। সাধ্যের
মধ্যে অাঞ্জুস কোকো
রেস্টুরেন্টে কমদামে সেরা
খাবারে (সাউথ ইন্ডিয়ান
ইদলি ও সামবার
বাদে) ডিনার সেরে
ফেলতে পারেন।
৪র্থ দিনঃ অাঞ্জুস
থেকে পেট পুরে
সকালের নাস্তা খেয়ে
নীল আইসল্যান্ডের ফেরিতে
ওঠার আগ পর্যন্ত
একটু রিল্যাক্স সময় কাটানো। হোটেল চেক ইন করার
পর আমরা দৌড়ে
ন্যাচারাল ব্রিজে গিয়েছিলাম কেননা
সূর্যাস্ত দেখার জন্য
আমরা কিছুটা সময় হাতে পেয়েছিলাম। সেই জায়গাটা এবং সেখানকার সূর্যাস্ত দুটোই
ছিল অসাধারণ ✌। সেখান
থেকে ফিরে লোকাল
মার্কেটে ঘুরে বেড়িয়েছি।
...... রেস্টু্রেন্টে ফিশ বার্বিকিউ দিয়ে
ডিনার করেছি 😍😍। জায়গাটা
ছিল অসাধারণ।
৫ম দিনঃ সিতাপুর
বীচে সূর্যোদয় মিস হয়ে যায় 😂 । কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট করে কোকো-এন্ড-হাট রিসোর্ট
থেকে চেক আউট করে ভারতনগর
বীচে যাই। কাঁচের
নৌকা, জেট স্কিনিং
সবই পাবেন জন প্রতি ৪০০ রুপিতে। নীল থেকে পোর্ট
ব্লেয়ারের ফেরি ছাড়ে
দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে। হোটেলে
চেক ইন করার
পর আনন্দ রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি
দিয়ে লাঞ্চ 🍴 । সেলুলার জেইল
থেকে ঘুরে আসতে
চাইলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত
টিকেট পাওয়া যায়।
নাইট শো দেখতে
চাইলে ওদের ওয়াইফাই
ব্যাবহার করে অনলাইনে
বুকিং দিতে হয়। সন্ধাটা রাজীব
গান্ধী ওয়াটার পার্কে
কাটাতে পারেন। সেখানে
ওপেন ফুড কোর্ট
ও আছে। সেলুলার জেইলে
নাইট (মিউজিক) শো শুরু হয় ৬টা ৩০, ৭ টা ৩০ ও ৮ টা ৩০ মিনিটে।
এখানে জেইলের ইতিহাস
হিন্দি আর ইংলিশ
এ বর্ননা করা হয়।
৬ষ্ঠ দিনঃ
সকালে রোজ আইসল্যন্ডে ভ্রমন।
রাজীব গান্ধী ওয়াটার
কমপ্লেক্স থেকে ফেরি
পাওয়া যায়।
দুপুর আড়াইটায় পোর্ট ব্লেয়ার থেকে কলকাতার ফ্লাইট। আমরা মাক্রোজ এর সাথে সবগুলো ফেরির টিকেট বুকিং করেছিলাম। ফেরি আর ফ্লাইটের সময়ের সাথে সঙ্গতি করে ভ্রমের সময় বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
দুপুর আড়াইটায় পোর্ট ব্লেয়ার থেকে কলকাতার ফ্লাইট। আমরা মাক্রোজ এর সাথে সবগুলো ফেরির টিকেট বুকিং করেছিলাম। ফেরি আর ফ্লাইটের সময়ের সাথে সঙ্গতি করে ভ্রমের সময় বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
বি.দ্র:
"আমরা কোথাও পানির বোতল, চকলেটের খোসা, পলিথিন অথবা অন্য কোন বস্তু ফেলে পরিবেশ নোংড়া করিনি। চেষ্টা করবেন স্থান গুলো নোংড়া না করার।"
Comments
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.